নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধিঃ-
নলছিটি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তিমিরকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভোকেশনাল বিদ্যালয়ের ৬২তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। ২৬শে এপ্রিল, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই বর্ণাঢ্য আয়োজন উদ্বোধন করেন তিমিরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রবীণ শিক্ষক সুধীর রঞ্জন মন্ডল।
তিমিরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের সম্মানিত সভাপতি ও দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান খন্দকার অহিদুল ইসলাম বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তরুণ সমাজ সেবক, জামিয়া মোহাম্মাদীয়া জয়নাল আবেদীন কওমী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, ইমাম আইডিয়াল ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান, এন এস গ্রুপের পরিচালক,দানবীর আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম ইমাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নলছিটি থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল সালাম, সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবু সেলিম খান, তিমিরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম আকন সেলিম, সাবেক ডি জি এফ আই কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন, সাবেক সভাপতি নাছির উদ্দীন মৃধা, প্রভাষক শফিকুর রহমান খান, খন্দকার জাকির হোসেন পল্টু, আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সকাল থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মাঠ মুখরিত করে তোলে। দৌড়, লাফ, সহ নানা ধরনের খেলাধুলায় শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দর্শক ও অতিথিদের মুগ্ধ করে। এরপর বিকাল ৩টায় শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম ইমাম তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, খেলাধুলা শরীর ও মনকে সতেজ রাখে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে শৃঙ্খলা ও প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি করে। এছাড়াও তিনি সকল অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক সুধীর রঞ্জন মন্ডল তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বিদ্যালয়ের সোনালী দিনের স্মৃতিচারণ করেন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। সভাপতি খন্দকার অহিদুল ইসলাম বাদল বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং এই সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন। শিক্ষার্থীদের আনন্দ আর উল্লাসে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। এই বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় সকলের মাঝে এক আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এটি নিঃসন্দেহে বিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিলনমেলা হিসেবে সকলের স্মৃতিতে অমলিন হয়ে থাকবে।